ভারতে বিরোধী রাজনৈতিক জোট ‘ইন্ডিয়া’-এর মধ্যে ক্রমেই ফাটল দেখা দিয়েছে। কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি ও আম আদমি পার্টি (আপ) আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এবার আম আদমি পার্টি জানাল, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব যদি দিল্লির নেতাদের সংযত না করেন, তাহলে তারা ‘ইন্ডিয়া’ জোটের নেতৃত্বকে বলবে কংগ্রেসকে জোট থেকে ছেঁটে ফেলতে।
এই ঘটনার পর, কংগ্রেসের সঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সম্পর্ক আরও সংকটের মধ্যে পড়েছে।
লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির সাতটি এবং চণ্ডীগড়ের একমাত্র আসনে কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি একত্রে লড়াই করেছিল, তবে পাঞ্জাবে দুই দলের মধ্যে সমঝোতা হয়নি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে দুই দল আলাদাভাবে লড়বে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই মধ্যে, গতকাল দিল্লি কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দেবেন্দ্র যাদব সংবাদ সম্মেলনে দিল্লির সরকারকে ‘দুর্নীতি ও অপশাসন’ নিয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন। তারা আম আদমি পার্টি নেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন এবং কেজরিওয়ালকে ‘ফর্জিওয়াল’ (জালিয়াত) বলে অভিহিত করেন।
এমন পরিস্থিতিতে, আম আদমি পার্টি নেতারা কংগ্রেসকে সমালোচনা করে বলেন, তাদের বক্তব্য বিজেপির পক্ষ থেকে দেওয়া একটি স্ক্রিপ্টের মতো। সঞ্জয় সিং বলেন, যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব অজয় মাকেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তারা ‘ইন্ডিয়া’ জোট থেকে কংগ্রেসকে বের করে দেওয়ার দাবি জানাবেন।
দিল্লি নির্বাচনের আগে এই পরিস্থিতি ‘ইন্ডিয়া’ জোটের মধ্যে আরও চাপ তৈরি করেছে, কারণ কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি দুটোই ৭০ আসনের মধ্যে নিজেদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। কংগ্রেস কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে।
মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় কংগ্রেসের খারাপ ফলের পর, তৃণমূল কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি ‘ইন্ডিয়া’ জোটের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। এর মধ্যে কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির মধ্যে টানাপোড়েন আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।